শ্যামলী এনআর পরিবহনের বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজকের মধ্যে ৫ লাখ ও ১৫ দিনের মধ্যে বাকি ৫ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ এই আদেশ দেন। সেই সঙ্গে শ্যামলী এনআর পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভংকর ঘোষ রাকেশকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অবকাশের পর এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হবে।
শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আর আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে সবজি বিক্রেতা আয়নালের পরিবারের সদস্য ও আহতদের জন্য ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ৭ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘সবজি বিক্রেতা আয়নাল হোসেনের মৃত স্ত্রী ফিরোজা বেগমের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোগা সেতুর পাশে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে আয়নাল হোসেনের মৃত্যু হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সের চালকও মারা যান। আর আহত হয় আয়নাল হোসেনের তিন সন্তানসহ বেশ কয়েকজন। ওই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আর শ্যামলী-এনআর ট্রাভেলসের সঙ্গে আলোচনা হলেও তারা কোনো আগ্রহ দেখায়নি। পরে ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।’