হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জোনাল শাখা অফিস ঘেরাও করেছেন ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার সকালে হরিরামপুরের সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে মিছিল নিয়ে অফিস ঘেরাও করেন।
কর্মসূচিতে লোডশেডিংয়ের কারণে সীমাহীন ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ‘লোডশেডিং কমিয়ে দে, নইলে চাকরি ছেড়ে দে’, ‘আমাদের দাবি একটাই মুক্তভাবে বিদ্যুৎ চায়’ স্লোগানসহ ছয়টি দাবি পেশ করেন তাঁরা। আন্দোলনকারী ছাত্ররা ঝিটকা খাজা রহমত আলী ডিগ্রি কলেজসহ কয়েকটি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় কোন লোডশেডিং চলবে না, লোডশেডিং দিনে কত ঘণ্টা দেবে তার নির্দিষ্ট সময় বলতে হবে, লোডশেডিং দিয়ে আবার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ দিয়ে আবার লোডশেডিং দেওয়া এরকম কোনো কাজ করা যাবে না। লোডশেডিং কমাতে হবে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ ঘণ্টা লোডশেডিং দিতে হবে। অতিরিক্ত মিটার বিল কেন আসে তার কারণ দর্শাতে হবে।
পরে তাঁরা মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হরিরামপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সামিউল কবিরের কাছে তাদের দাবি পেশ করেন।
এ সময় আন্দোলনকারীরা জানান, উপজেলায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর নিয়ম করে লোডশেডিং করা হলেও বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। কোথাও এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরপর কয়েক মিনিটের জন্য দেওয়া হয় বিদ্যুৎ। আবার কখনো একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকে না।
মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হরিরামপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সামিউল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিতরণ করি। হরিরামপুর উপজেলায় চাহিদার ৪০-৫০ ভাগ বিদ্যুৎ পাই। যতটুকু পাই ততটুকু বিতরণ করি। উৎপাদন না বাড়লে লোডশেডিং কমার সম্ভাবনা কম।’