নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ওমর আলী (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ওমর আলী রূপগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্বপুর এলাকার মৃত ফৈজদ্দিনের ছেলে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক আমিরুল শিকদার বলেন, ‘সন্ধ্যায় স্থানীয়রা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। বৃদ্ধের গলার সঙ্গে একটি কলস বাঁধা ছিল দড়ি দিয়ে। পরে পরিবার এসে তার লাশ শনাক্ত করে।’
নিহতের ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল থেকে আমার বাবা নিখোঁজ ছিল। এ নিয়ে আজ সকালেই থানায় জিডি করা হয়। রাতেই তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মৃত ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে বাবার সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। এই বিরোধ থেকেই তাকে হত্যা করে গুম করার জন্য কলসির সঙ্গে বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।’
পরিবার সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলাম নামে ওমর আলীর এক ছেলে ছিল। ছয় মাস আগে তিনি মারা যান। রফিকুল ও তাঁর স্ত্রী লিপি আক্তারের সঙ্গে ওমর আলী ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। রফিকুল মারা যাওয়ার কিছুদিন পর রফিকুলের স্ত্রীকে ঘর ছেড়ে দিতে বলেন ওমর আলী ও তাঁর আরেক ছেলে শফিকুল। কিন্তু ঘর ছাড়তে নারাজ ছিল লিপি আক্তার। এ নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর লিপি আক্তারের বাবার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে ওমর আলীর পরিবারের সদস্যদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী হাসান বলেন, লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।