রাজধানীর লালবাগ শহীদনগরের একটি বাসায় আগুনে দগ্ধ কিশোরী মারিয়া আক্তার (১৪) মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আজ বুধবার পরিবারের আবেদনে মরদেহটি বিনা ময়নাতদন্তে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
মারিয়ার ভগ্নীপতি মো. ডালিম জানান, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে মারিয়া। মা মাফিয়ার সঙ্গে শহীদনগর ৫ নম্বর গলিতে একটি বাসায় ভাড়া থাকত। ১ নম্বর গলিতে একটি কারখানায় কাজ করত সে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শহীদনগরে কারখানার মালিকের বাসায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে মেখে দেশলাই জ্বালিয়ে দুষ্টামি করছিল সে। সে দেখাচ্ছিল যে, এতে কিছুই হয় না। এ সময় তার হাত ও জামায় আগুন ধরে যায়। তখন পাশে থাকা কারখানার মালিকের শিশু সন্তানের চুলও পুড়ে যায়। এটি দেখে কারখানার আরেক কর্মচারী তৈহিদ (১৫) হাত দিয়ে তার শরীরের আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তখন তার হাতও দগ্ধ হয়। ওই রাতেই তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম জানান, কারখানার মালিকের বাসায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে আগুনে সে দগ্ধ হয়েছিল বলে জানা গেছে। দগ্ধ অবস্থায় সে নিজেও পুলিশের কাছে জানিয়েছে, নিজে নিজেই দেশলাই দিয়ে আগুন জ্বালানো পর তার শরীরে আগুন ধরে যায়। এই ঘটনায় তার পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।