নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃ তদন্ত ও ‘অন্যায়ভাবে’ চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে প্রায় এক ঘণ্টার ব্লকেড কর্মসূচি শেষ করে আবার শহীদ মিনারে ফিরে গেছেন ভুক্তভোগী বিডিআর সদস্য, তাঁদের পরিবার ও ছাত্র-জনতা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে এই ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে শেষ করেন তাঁরা।
গত বুধবার রাত থেকে একই দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। তারপর দুপুরে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃ তদন্ত ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে শাহবাগে পুলিশ বাধা দিলে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যায়।
সেখান থেকে বিকেলে ফিরে এসে ‘ন্যায়বিচারের আশ্বাস’ না পেলে বৃহস্পতিবার শাহবাগ ব্লকেডের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘোষণা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা ১ ঘণ্টার ব্লকেড কর্মসূচি শেষ করে আবার শহীদ মিনারে ফিরে যান।
শাহবাগ ব্লকেড চলাকালে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য নুরুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকার আদায় করার জন্য এখানে এসেছি। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশ্বাস না পেলে আমরা আন্দোলন ছাড়ব না। আমাদের অনেক ভাই এখনো জেলে আছেন, তাঁদের মুক্ত করে আমরা রাজপথ ছাড়ব।’
ব্লকেড চলাকালে আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আরিয়ান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে আপনারা (সরকার) ক্ষমতায় গেছেন। এসিরুমে বসে টিভির স্ক্রিনে বসে শাহবাগের অবস্থা দেখছেন, কিন্তু শাহবাগ এসে কথা বলতে পারছেন না। ছাত্রদের নায্য দাবি না মানার কারণে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে, আপনারাও সেই পথে হাঁটবেন না। সেই পথে হাঁটলে শেখ হাসিনার মতো অবস্থা আপনাদেরও হবে।’
শহীদ মিনারে অবস্থানের বিষয়ে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক কে এ রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়েছি সচিবালয়ে এ বিষয়ে মিটিং বসেছে, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান করব। এখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচির কারণে কাঁটাবন-ফার্মগেট-মতিঝিল ও ঢাবি এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা যায়। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি মুহাম্মদ খালিদ মানসুর বলেন, ‘বিডিআর ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্লকেড কর্মসূচির কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তবে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।’