রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। এসব যাত্রীর বেশির ভাগ জরুরি কাজের অজুহাত দেখিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। কঠোর লকডাউন চললেও যাত্রা থেমে নেই এসব যাত্রীদের।
আজ মঙ্গলবার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মুখী মানুষ অপেক্ষা করছে ফেরির জন্য। অপরদিকে পাটুরিয়া থেকে যেসব ফেরি দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ভিড়ছে তাতেও ঘরমুখো মানুষের ভিড় ছিল অনেক। ফেরিতে ছিল ৫টি ব্যক্তিগত গাড়ি, দুইটি ট্রাক ও কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ দুই শতাধিক যাত্রী। এ ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স, ট্রাক এবং ব্যক্তিগত গাড়ির সঙ্গে অন্তত দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে আবার পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। এদের কেউ যাচ্ছেন ডাক্তার দেখাতে, কেউ যাচ্ছেন ওষুধ আনতে, কেউ নিজেই ডাক্তার, কেউ ছুটি শেষে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে, অনেকেই আবার দেখাচ্ছেন জরুরি পরিষেবার নানান অজুহাত।
মোটরসাইকেলে স্ত্রীকে নিয়ে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে যাওয়া রাশিদুল হাসান বলেন, চাচা অসুস্থ হওয়ায় বাড়ি যেতে হচ্ছে জরুরি। আজ খুব সকালেই রওনা হয়েছি। পার হওয়ার পর যদি পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটকায়, তাহলে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করব। দেশের এই পরিস্থিতিতে কেউ তো আর এমনি এমনি বাড়ির বাইরে বের হয় না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাঁদের অনেকেই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এ সময় অহেতুক কেউ বাইরে বের হওয়ায় জরিমানা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, যানবাহনের চাপ কম থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বড়, ছোট বিভিন্ন ফেরি চলাচল করছে। বর্তমানে ঘাটে কিছু পণ্যবাহী এবং ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে। ফেরিতে কম বেশি যাত্রী পারাপার হচ্ছে। তবে পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রী বেশি দেখা যাচ্ছে।