শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে নির্মাণের তিন মাসের মাথায় পাকা সড়কের ২০০ মিটার অংশ দেবে গেছে। সড়ক ঘেঁষে বালু মজুত করার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করছে। এদিকে সড়ক দেবে যাওয়ায় ওই পথে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের পাইটালবাড়ি মোড় থেকে নান্দিয়া সাঙ্গুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হয় তিন মাস আগে। নতুন রাস্তার মাঝখানে ২০০ মিটার পাকা সড়ক ১০ ফুট পর্যন্ত দেবে গেছে। বর্তমানে ওই সড়ক দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। পাশে থাকা বাঁশঝাড় সড়কের ওপর হেলে পড়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে হারুন অর রশিদ পাকা সড়ক ঘেঁষে বালু মজুত করেছেন। এই গদির জন্য অতিরিক্ত চাপে পাকা সড়ক দেবে কমপক্ষে ১০ ফুট নিচে নেমে গেছে।
নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন বলেন, মাত্র তিন মাস হলো নতুন করে সড়কটি পাকা করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর। কাজ শুরুর পরপরই সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ দেবে যায়। এভাবে পাহাড় সমান বালু মজুত করলে কী করে রাস্তা থাকবে? বালু উত্তোলন করার পর সব পানি রাস্তার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তা দেবে গেছে।
উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দাদন মীর বলেন, ‘নান্দিয়া সাঙ্গুন নদীর পাড়ের হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। একাধিকবার মানা করার পরও স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা সড়ক ঘেঁষে বালু মজুত করে। যে কারণে পাকা সড়কটি দেবে গেছে। বর্তমানে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ বলা যায়। আমি বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি।’
শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল আহসান বলেন, ‘সড়কটি নির্মাণ হয়েছে মাত্র তিন মাস হলো। এর মধ্যেই এর কিছু অংশ দেবে যাওয়ার বিষয়টি জেনেছি। পাকা রাস্তার পাশে বালু মজুত করার কারণে এই সমস্যা হয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সঙ্গে পরামর্শ করছি। জড়িত বালুর গদির মালিককে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা প্রকৌশলী বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জড়িত বালু ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’