ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম বলেছেন, ‘থানায় সেবা নিতে কোনো ধরনের তদবির বা রেফারেন্সের প্রয়োজন নেই। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ কোনো ধরনের তদবির ছাড়াই নির্ভয়ে থানায় গিয়ে যাতে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
ডিএমপির তুরাগ থানায় আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) ছাত্র-জনতা ও সম্মানিত নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) বলেন, ‘পুলিশ সাধারণ মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করবে। মানুষের ধারণা পরিবর্তনের জন্য, পুলিশের ইমেজ পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। গত ৫ আগস্টের আগের পুলিশের কার্যক্রম আর বর্তমান পুলিশের কার্যক্রম অবশ্যই এক হবে না। থানায় কোনো ধরনের তদবির, কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন ছাড়াই মিলবে কাঙ্ক্ষিত সর্বোচ্চ আইনানুগ সেবা।’
মো. মাসুদ করিম আরও বলেন, ‘এখন কারও পোস্টিংয়ে কোনো টাকাপয়সা লাগে না। থানার অফিসার ইনচার্জ যদি অন্যায় কাজ করে, আর তা যদি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স জানতে পারে সঙ্গে সঙ্গে তিনি পরিবর্তন হয়ে যাবেন। এখানে ডিসি, এডিসি, এসি রয়েছেন। একটা কথা মনে রাখবেন, ওসি আপনাকে সহায়তা না করলে, তার ওপরে এসি রয়েছেন, আপনারা তাঁর কাছে যাবেন। যদি সেখানেও ব্যর্থ হন, তার ওপরে এডিসি রয়েছেন, তাঁর কাছে যাবেন।’
মাসুস করিম বলেন, ‘অনেকে থানায় আসতে চান না। অনেক সময় তথ্য দিতেও ভয় পান। তাঁদের জন্য আমাদের ঊর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তার নাম, মোবাইল নম্বর বিভিন্ন জায়গায় সাইনবোর্ডে দেওয়া হয়েছে এবং তা আরও দৃশ্যমান করা হবে, যাতে খুব সহজেই আপনারা সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারেন।’
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ যেন জনগণের আস্থাভাজন হতে পারে, সে জন্য আমাদের আন্তরিক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে জনগণকেও পুলিশের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে নির্ভয়ে ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে।’
উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রওনক জাহানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উত্তরা বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।