কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে আলী আকবরী পেট্রল পাম্প সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের দাড়িয়াকান্দি গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে অটোরিকশা চালক কালাম ওরফে কালা চাঁন (৪২) ও একই উপজেলার রামদি ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামের মো. ইনসাফ উদ্দিনের ছেলে মো. আবু আল হেলাল (৪৯)।
আহতরা হলেন একই উপজেলার রামদি ইউনিয়নের পশ্চিম তাড়াকান্দি গ্রামের মৃত গোলাপ মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (৫০) ও অন্য আহত অজ্ঞাত এক নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অটোরিকশা চালক কালা চাঁন ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে চার যাত্রী নিয়ে রওনা হন। কুলিয়ারচর আলী আকবরী পেট্রল পাম্প সংলগ্ন স্থানে কিশোরগঞ্জ থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশা চালক কালা চাঁন ও যাত্রী হেলাল নিহত হন। এ সময় স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে ভাগলপুর মেডিকেল কলেজ হসপিটালে পাঠান।
নিহত অটোরিকশা চালক কালামের মামাতো ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার ভাই ফজরের নামাজের পর গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। ভৈরব থেকে চারজন যাত্রী নিয়ে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু পাম্পের কাছে আসলে মাইক্রোবাসটি ভাইয়ের সিএনজির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ভাইসহ এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
হেলালের চাচাতো ভাই আবুল কালাম বলেন, হেলালের চট্টগ্রামে পাদুকা কারখানা আছে। আজ সকালে বাড়ি আসার উদ্দেশ্যে ভৈরব থেকে সিএনজিতে ওঠেন কিন্তু বাড়ির কাছাকাছি এসে দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
ভৈরব হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বাবুল মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করি। অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।