অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র ও করিমগঞ্জ পলিটেকনিকেল কলেজের সামনে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের তার ছিঁড়ে ১৫ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎহীন হাওরাঞ্চলের তিন উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন। উপজেলাগুলোর ২৩টি ইউনিয়নের প্রায় ৭৪ হাজার গ্রাহক এতে দুর্ভোগে পড়েছেন।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) সূত্র জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে রোববার বেলা ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড়ে কিশোরগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র ও করিমগঞ্জ উপজেলার পলিটেকনিক কলেজের আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা পড়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ছিঁড়ে যায়।
টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার প্রভাব পড়ছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, হাসপাতালে। বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল বিভিন্ন কাজ করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। অটোরিকশাচালকেরা রাতে যানবাহনে চার্জ দিতে না পারায় কাজে বের হতে পারছেন না।
এদিকে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মীরা সকাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ করছেন বলে জানায় মিঠামইন পবিস জোনাল অফিস।
মিঠামইন জোনাল অফিসের অধীনে অষ্টগ্রামে প্রায় ২৯ হাজার, মিঠামইনে ২৫ হাজার ও ইটনায় (একটি ইউনিয়ন বাদে) ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন।
অষ্টগ্রামের তপন শীল বলেন, এই মৌসুমে ঝড়-তুফান হবেই, তাই বলে এত সময় বিদ্যুৎ না থাকা দুঃখজনক। এই সমস্যার দ্রুত সমাধানে বিকল্প পথ খোঁজা দরকার।
মিঠামইন পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, কিশোরগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের সরবরাহ লাইনে ঝড়ের আঘাতে গাছ-পালা পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। স্বাভাবিক করতে পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা কর্মীরা কাজ করছেন। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হবে।