কোরবানিকে ঘিরে সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। চামড়া সংরক্ষণে কেমিক্যাল, লবণসহ কারখানাগুলোতে প্রস্তুত রয়েছে অতিরিক্ত শ্রমিক। বিসিকের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।
গত বছর ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা এক কোটি পিস থাকলেও এবারে লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ পিস। ভালো দাম পেতে নিয়ম মেনে চামড়া সংরক্ষণের পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের বিসিক চামড়া শিল্পনগরীতে ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির ঈদকে ঘিরে প্রায় সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন করেছে কারখানাগুলো। শিল্পনগরীতে বর্তমানে ১৪২টি ট্যানারিতে উৎপাদন চলমান রয়েছে। চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার জন্য যেসব মেশিনারিজ রয়েছে সেগুলো ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করছেন শ্রমিকেরা। ট্রাকে ট্রাকে লবণের বস্তা ও বিভিন্ন কেমিক্যাল ঢুকছে কারখানায়।
শ্রমিকেরা সেসব মালামাল নামিয়ে সাজিয়ে রাখতেই ব্যস্ত। ঈদের এক দিন বাকি থাকায় বেশির ভাগ কারখানাতে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল ও লবণ মজুত করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বিসিক এলাকার জমে থাকা বিভিন্ন আবর্জনা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে, পরিষ্কার করা হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের নালা।
সালমা ট্যানারির শ্রমিক আব্দুল হালিম বলেন, ‘সামনেই আমাদের মূল মৌসুম। কাঁচা চামড়া প্রস্তুতের জন্য ড্রাম, ফ্লেশিং মেশিনসহ সব প্রস্তুত করা হচ্ছে। কিছু মেশিনে ছোট খাট সমস্যা থাকলে সেগুলো ঈদের আগে ঠিক হয়ে যাবে।’
সিইটিপি প্ল্যান্টের শ্রমিকেরা জানান, ঈদের সময় কাজ বেশি হবে, প্রচুর বর্জ্য হবে। ঈদের বাড়তি চাপের জন্য বালু, ঝিল্লিসহ ময়লা পরিষ্কার করে ইকুয়ালাইজেশন ট্যাংক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিসিক চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আমরা বিদ্যুৎ বিভাগকে পত্র দিয়েছি, তাদের সঙ্গে আলাদা সভা করেছি। ঢাকার চামড়াগুলো যেন ঈদের দিন নিরবচ্ছিন্নভাবে আসতে পারে, সে জন্য ঢাকার ট্রাফিক ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সভা করেছি। জেলা পর্যায়ের চামড়া যেন ঈদের সাত দিনের মধ্যে ঢাকায় না আসতে পারে সে জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের ব্যবস্থা নিতে পত্র দেওয়া হয়েছে।’