সকল তামাকপণ্যের মোড়কের ৯০ শতাংশ জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের দাবি জানিয়েছে তামাক বিরোধী তিনটি সংগঠন। আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত তামাকদ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কিত গবেষণা ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই দাবি জানায় টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।
বক্তারা জানান, সংশোধিত আইন অনুযায়ী সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের ৫০ শতাংশ পরিমাণ জায়গায় তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি সম্পর্কিত রঙিন ছবি ও লেখা সংবলিত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ করা বাধ্যতামূলক। তবে অধিকাংশ তামাক কোম্পানি এই সতর্কবার্তা দিতে গড়িমসি করে।
এ সময় সংগঠনগুলো তামাকজাত দ্রব্যের বিস্তার রোধে কয়েকটি সুপারিশ করে। সেগুলো হলো-আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মোড়কের ওপরের দিকে মুদ্রণ করা, খুচরা শলাকা ও পানের সঙ্গে জর্দা বিক্রয় বন্ধসহ খোলা তামাক ও সাদা পাতাকে মোড়কের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীবিহীন তামাকপণ্য ধ্বংস করা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। উৎপাদিত পণ্যের মোড়কে উৎপাদনকারী কোম্পানির নাম ঠিকানা সুনির্দিষ্ট করে মুদ্রণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উৎপাদনের তারিখ প্রদান বাধ্যতামূলক করা। এ ছাড়া তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক প্রতারণার বন্ধ করতে নির্দিষ্ট মোড়ক চালু করার সুপারিশ করে।