টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করলে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। পরে বেলা ৩টার দিকে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যান।
এর আগে সোমবার ফার্মেসি বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষার পূর্ব নির্ধারিত দিন ছিল। ওই পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন ৯৪ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্য থেকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেন।
এদিকে শিক্ষক সমিতির নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধিমতো শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি তুলে আন্দোলনে নামেন। তাঁদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ফার্মেসি বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। আজ মঙ্গলবার ছিল বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষা। পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগে। কিন্তু উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষকেরা অবস্থান করায় পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে পারেননি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরে প্রভাষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাসুদার রহমান বলেন, ‘উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতা ও একঘেয়েমির কারণে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ভিসি মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি মোতাবেক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন না করায় আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’
‘শিক্ষকদের হাতে লাঞ্ছিত উপাচার্য, নিয়োগ স্থগিত’ শিরোনামে দৈনিক আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের একটি অংশ ‘কতিপয় শিক্ষক তাকে (ভিসি) লাঞ্ছিত করেন’ এই অংশের প্রতিবাদ জানিয়ে ড. মাসুদার রহমান বলেন, ‘শিক্ষকেরা লাঞ্ছিত করেননি। উপাচার্যের একঘেয়েমি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে শতাধিক শিক্ষক ও উপাচার্যের মুখোমুখি অবস্থানের সময় আমার গায়ের সঙ্গে গা লেগেছে।’