ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
অ্যাপ্রোচ চ্যানেলে নাব্যতা সংকটের কারণে আবারও বন্ধ হয়েছে মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌ-পথে ফেরি চলাচল। এ নিয়ে চলতি মাসেই তিন দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ে আরিচা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে ডুবোচরে আটকে পড়ার আশঙ্কায় এই নৌ-পথে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
ফেরি বন্ধের কারণে নৌ-পথের উভয় ঘাট এলাকায় নদী পারাপারের অপেক্ষায় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও সহযোগী শ্রমিকসহ যাত্রীরা।
পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয় ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় আরিচা-কাজিরহাট নৌ-পথে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০০ পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার হয়। এই নৌ-পথে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে পাঁচটি ফেরি চলাচল করে। নাব্যতা সংকটের কারণে এই নৌ-পথ দিয়ে নিয়মিত যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। এই নৌ-পথের যানবাহনগুলোকে বিকল্প পথে যেতে হলে সময় ও পরিবহন খরচ অনেক গুণ বেড়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ বলেন, আরিচা ঘাটের অ্যাপ্রোচ চ্যানেলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আবারও আরিচা-কাজিরহাট নৌ-পথে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতেই ফেরি চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নৌ-পথ ব্যবহারকারীদের বিকল্প পথ ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নাব্যতা–সংকট দূর করতে নৌপথের পলি অপসারণে খনন কাজ চলছে। নৌ-পথটি চলাচলের উপযোগী হওয়ার পর ফেরি চলাচল শুরু হবে।
উল্লেখ্য, যমুনা নদীর পানি কমে যাওয়ায় নাব্যতা সংকটের কারণে চলতি মাসের ১ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে সাড়ে ৩৭ ঘণ্টা এবং ৮ নভেম্বর রাত ১১টা থেকে ৬১ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।