রাজধানীর ধানমণ্ডিতে এস হক গ্রুপে চাকরি করতেন মোহাম্মদ জলিল। করোনার শুরুতেই তাঁর চাকরিটা চলে যায়। কয়েক জায়গায় চাকরির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। বাড়িতে ব্রেইন স্ট্রোক করা অসুস্থ বাবা। আছে দুটো সন্তানও। বাবার চিকিৎসা আর সংসারের খরচ চালাতে চার মাস আগে বাধ্য হয়ে রিকশা চালানো শুরু করেন।
নিজের পুরোনো একটা বাইক বিক্রি করে পাওয়া টাকা আর সঞ্চয় মিলিয়ে ইভ্যালিতে অর্ডার করিছলেন একটা নতুন ডিসকভার বাইক। স্বপ্ন ছিল সেই বাইক চালিয়ে ধুঁকতে থাকা সংসারটাকে একটু দাঁড় করাবেন জলিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন ঝাপসা।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে ইভ্যালি অফিসের সামনে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তি চাইতে এসেছিলেন জলিল। বাইক অর্ডারের কাগজপত্র দেখিয়ে তিনি বলেন, গত মে মাসে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত কিছুই পাননি।
টাকাগুলো ফিরে পাওয়ার আশাতেই ইভ্যালি সিইওর মুক্তি চান তিনি। আজকের পত্রিকাকে মোহাম্মদ জলিল বলেন, কোম্পানি বাঁচলে আমরা টাকা পামু। কোম্পানি না থাকলে টাকা দিব কেডা?
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ইভ্যালি অফিসের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন কিছু গ্রাহক। তাঁদের বিশ্বাস, মোহাম্মদ রাসেল মুক্তি পেলে তাঁরা টাকা ফেরত পাবেন।