বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক অনেক ঘাটতি রয়েছে। বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সীমিত। আজ মঙ্গলবার সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ তারুণ্যের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’–শীর্ষক সভায় আলোচকেরা এসব কথা বলেন।
সভার আয়োজন করে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন, দ্য আর্থ, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট, তারুণ্যের বাজেট আন্দোলন, সেইফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি ও দি এশিয়া ফাউন্ডেশন।
গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মোস্তফা বলেন, ‘বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক অনেক ঘাটতি রয়েছে। এখানে সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সীমিত। সংসদে খুবই কম সময় বাজেট আলোচনা হয়, এটা যথেষ্ট না। এই বাজেটে স্থানীয় সরকার বা জনগণের তেমন সম্পৃক্ততা নেই। দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ নেই। পুরোটা আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।’
তরুণদের নিয়ে ৫ বছর ধরে বাজেট অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হচ্ছে জানিয়ে মনোয়ার মোস্তফা বলেন, ‘বাজেট সম্পর্কে তরুণদের সচেতন হতে হবে। তাদের জানতে হবে বাজেটে তাদের কতটুকু হিস্যা রয়েছে।’
সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘দেশে বাজেট কখনো গণতান্ত্রিক হয় না, মন্ত্রীরা ভূমিকা রাখে। সংসদ সদস্যদের ভূমিকা থাকে খুবই সামান্য। সংসদে তরুণ না থাকলে তারুণ্য নির্ভর বাজেট হবে না। সংসদ সদস্য ও সচিবদের মধ্যে যদি ৫০ শতাংশ তরুণ থাকে তাহলে বাজেটে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়। তিনি দাবি করেন, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট প্রণয়ন করা হয়। তবে বাজেট বরাদ্দের কতটা বাস্তবায়ন হয় সেটা খেয়াল রাখা দরকার।
দ্য আর্থের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মীর মুস্তাকিম আহমেদ রবি, আশিক উল্যাহ রফিক, আহসান আদেলুর রহমান, সেলিম আলতাফ জর্জ ও সেইফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা। এতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাঁরা বাজেট বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। তরুণদের বক্তব্যে প্রাধান্য পেয়েছে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রবাসী শ্রমিক ইস্যু।