হোম > সারা দেশ > ঢাকা

নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: দায়রা আদালতে ৪৩৬ জনের জামিন আবেদন, শুনানি ৩০ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা পুলিশের ওপর হামলার মামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৪৩৬ জন নেতা-কর্মীর জামিনের আবেদন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই আবেদন করা হয়। বিচারক মো. আসাদুজ্জামান ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।

আইনজীবী নিহাল হোসেন ফারুক আজকের পত্রিকাকে জানান, ৪৩৬ জন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীর জন্য জামিনের আবেদন করার পর আদালত আগামী ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত বুধবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ কয়েকজনের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। তাঁদের আবেদন শুনানির জন্য আগামী ২৫, ২৬ ও ২৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন শুনানির পর বুধবার আদালত ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন। তাঁদের জামিনের আবেদন পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।

আইনজীবী নেহাল হোসেন ফারুক আরও জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীদের জামিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কয়েক দফা নামঞ্জুর হওয়ার পর তাঁরা মহানগর দায়রা আদালতে আবেদন করেছেন। মহানগর দায়রা জজ আদালত জামিন মঞ্জুর না করলে নেতা-কর্মীদের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে বলেও তিনি জানান।

গত ৭ ডিসেম্বর সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে আটক করা হয় ৪৫০ জন নেতা-কর্মীকে। তাঁদের ৮ ডিসেম্বর আদালতে আনার পর আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের জুয়েলকে জামিন দেন আদালত। অন্যদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের ৯ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে ৪৫৩ জন কারাগারে রয়েছেন।

গত ৮ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা। কোনো ধরনের পূর্বানুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এই সমাবেশের ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়া যায়।

১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ৭ ডিসেম্বর বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন পার্টি অফিসের সামনে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের বিষয়ে পল্টন, রমনা, শাহজাহানপুর ও মতিঝিল থানায় পাঁচটি মামলা হয়।

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

সেকশন