দুদকের মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ডেসটিনির সাইদুল ইসলাম খান রুবেলের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। তবে তাকে জামিন না দিলেও ১২৫ কোটি টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমীনসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে গত ১২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
রায়ে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনের ১২ বছর কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং প্রেসিডেন্ট এম হারুন-অর-রশীদের চার বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া রুবেলকে ৮ বছরের কারাদণ্ড ও ১২৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। বাকি আসামিদের ৫ থেকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেন। এরপর রুবেল রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুদক। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলায় অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়।