নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গ্রামীণ টেলিকমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ সকাল সাড়ে ১০টার পর শুনানি শুরু হয়।
বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন শুনানি গ্রহণ করছেন। দুদকের বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল ড. ইউনূসসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন।
এদিকে ড. ইউনূসসহ সব আসামির পক্ষে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। ড. ইউনূসসহ সাতজনের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন শুনানি শুরু করেছেন। এর আগে ইউনূসসহ আসামিরা আদালতে হাজির হন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক মো. শাহজাহান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম, পরিচালক এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।
এর আগে গত ২ এপ্রিল ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে বিশেষ জজ-৪-এ মামলাটি বিচারের জন্য স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
এই মামলায় গত ৩০ জানুয়ারি দুদক আদালতে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে ।
গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে তহবিল থেকে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা লোপাটের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় এজাহারভুক্ত ১৩ আসামির সঙ্গে তদন্তে পাওয়া নতুন আরও একজনের নাম যুক্ত করা হয়।
গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গত ৩ মার্চ ড. ইউনুসসহ আট জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। পরে অন্য আসামিরাও আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।