গুলশান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান হত্যা মামলায় বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহে আলম তালুকদারকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান রিমান্ডের নেওয়ার এই আদেশ দেন।
বিকেলে শাহে আলমকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই রাজু আহমেদ তাঁর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শাহে আলমের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গতকাল শনিবার শাহে আলম তালুকদারকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা। পরে তাঁকে গুলশান থানায় সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, নাইমুর রহমান (২২) গুলশান ডিগ্রি কলেজের একজন ছাত্র এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী। গত ১৯ জুলাই গুলশান থানার শাহাজাদপুর মেইন রোডে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন তিনি।
পরে বিকেল ৪টার পর ৪০০ থেকে ৫০০ জন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়ে। তাদের ছোড়া গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হন।
তাঁদের মধ্যে নাইমুর রহমানও ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তিনি মারা যান। পরে তাঁর বাবা ৬৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক চিফ হুইফ নুরে আলম চৌধুরী লিটন, সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান, সাবেক বিদুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক এমপি নুর মোহাম্মদ।