ভ্রাম্যমাণ আদালত বাসকে জরিমানা করায় রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে সড়ক অবরোধ করেছে পরিবহন শ্রমিকেরা। আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সড়ক ছাড়েন তাঁরা।
প্রায় আড়ায় ঘণ্টার অবরোধে মহাখালী থেকে বনানী, উত্তরা, গুলশানসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন এসব রুটের যাত্রী সাধারণ।
এর আগে ট্রাফিক গুলশান বিভাগের ফেসবুক পেজে বিকেল ৫টায় এক পোস্টে উল্লেখ করা হয়, খিলক্ষেত এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক বাসের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মহাখালী টার্মিনাল এরিয়ায় পরিবহন সংশ্লিষ্ট শ্রমিকেরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে মহাখালী টার্মিনাল থেকে ইনকামিং ও আউটগোয়িং যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা চলমান রয়েছে।
জানা যায়, প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক বিকেল তিনটার দিকে মহাখালীতে সড়ক অবরোধ করে। অপ্রয়োজনে মামলা ও হয়রানির অভিযোগ তুলে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করে পরিবহন শ্রমিকেরা।
এদিকে এই ঘটনার পর বিকেল থেকে মহাখালী থেকে বনানী, উত্তরা, গুলশানসহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। এতে এসব সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে এসব পথে চলাচল করা মানুষ। সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব সড়কে যানচলাচল ছিল ধীরগতি।
যানজটে আটকে থাকা ব্যক্তিরা জানান, কোনো কিছু হলেই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করা হচ্ছে। ব্যস্ততম একটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করছে অনেকে। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। জরুরি কাজে বের হয়েও অবরোধের কারণে গন্তব্যে যাওয়া যাচ্ছে না।
ট্রাফিক-মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. জুনায়েদ জাহেদী সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজধানীর উত্তরাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত চলছিল। এমন সময় একটি বাসের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বাসটির বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর বাসটি মহাখালী এসে প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক সঙ্গে নিয়ে মহাখালী সড়ক অবরোধ করে। এতে মহাখালী টার্মিনাল থেকে ইনকামিং ও আউটগোয়িং যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়ও মহাখালীসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাছে করছে পুলিশ।