বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অটোরিকশা চালক মো. রনি হত্যা মামলায় কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জকে ফের ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শনিবার বিকেলে সেলিম আলতাফকে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই আলতাফ হোসেন আবারও ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
সেলিম আলতাফের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান তোতা। শুনানি শেষে আদালত ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সেলিম আলতাফকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর লালমাটিয়া থেকে সেলিম আলতাফকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
ফেট রিমান্ড আবেদনের তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, এই মামলার ঘটনায় নিহত রনি হত্যাকাণ্ডে সাবেক সংসদ সদস্য জড়িত ছিলেন বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো যাচাই করা হচ্ছে। তবে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ও উসকানি দাতাদের শনাক্ত করা এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের জন্য আবার রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
মামলায় বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই রাত ১ টার সময় মোহাম্মদপুর থানার নুরজাহান রোডের দক্ষিণ মাথায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালানো হয়। এতে অটো রিকশা চালক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর রক্ত জখমপ্রাপ্ত হন। স্থানীয়রা তাকে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শেখ হাসিনা সহ ২৭ জনকে আসামি করে গত আট সেপ্টেম্বর নিহত রনির মা পারভীন মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।