নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বাবুল হাওলাদার (৪৮) নামে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাজধানীর রামপুরায় তিনি গত ১৯ জুলাই গলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
৯দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান।
নিহত বাবুল হাওলাদারের ছেলে মো. পারভেজ হাওলাদার বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার আপর গ্রামে। তার বাবা রংমিস্ত্রী ছিলেন। বাবা, মা, দুই ভাই ও এক বোন সহ তারা রামপুরা উলন রোডে থাকতেন।
পারভেজ আরও বলেন, গত ১৯ জুলাই শুক্রবার সকালে পূর্ব রামপুরা কাজে গিয়েছিলেন তার বাবা। দুপুরে জুমার নামাজের পর সেখান থেকে পায়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। তখন ওই এলাকাতে ব্যাপক আন্দোলন ও গোলাগুলি চলছিল। তিনি হাতিরঝিল পলাশবাগ মোড় দিয়ে বাসায় ফেরার সময় রাস্তা পার হতে গেলে তখন তার গলার নিচে গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।
পারভেজের দাবি, তার বাবা কোনো আন্দোলনে ছিলেন না। পথচারী হিসেবে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, নিহত ব্যক্তির গলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।