নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যৌনপল্লী উচ্ছেদসহ নানা কারণে ভাসমান যৌনকর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। ডিজিটাল মাধ্যম এবং বাড়ি ও হোটেল নির্ভর যৌনকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বহু শ্রেণিবিভাগে বিভক্ত হচ্ছে তারা। ভাসমান যৌনকর্মীরা সচেতনতা সৃষ্টির বলয়ের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে যৌনকর্মীরা।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে নারীপক্ষের নাসরিন হক সভাকক্ষে ‘যৌনকর্মীদের অধিকার আন্দোলন সমর্থনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, নানা শ্রেণিবিভাগ হওয়ায় ১০ জনের মধ্যে ২ জনের এইডস ধরা পড়ছে। কারণ তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন নয়। আবার তারা চিকিৎসা করাতে পারছে না, মারা গেলে যৌনকর্মীদের কবর দিতে সমস্যা হয়, এক সময় তাদের ভাসিয়ে দেওয়া হতো। নারায়ণগঞ্জের টানবাজার, কান্দুপট্টি যৌনপল্লি উচ্ছেদের পর সারা শহরেই ভাসমান যৌনকর্মীদের দেখা যায়। তাদের পুনর্বাসন ও অধিকার আদায়ে কাজ করা জরুরি। পুলিশ ও মাস্তান দ্বারা যৌনকর্মীরা আরও বেশি সহিংসতার শিকার হয়। যৌনকর্মীর ছেলেমেয়েদের মূলধারায় ফিরিয়ে আনার তাগিদ দেন বক্তারা।
নারীপক্ষের সদস্য মাহবুবা মাহমুদ লীনার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী শিরীন হক, সভানেত্রী গীতা দাস, বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের খায়রুজ্জমান কামাল প্রমুখ।
শ্যামল দত্ত বলেন, যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা থেকে আমরা একটু দূরে সরে গেছি। আমাদের পরিকল্পিতভাবে কাজ করে তাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যৌনকর্মীদের অধিকারের বিষয় তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
সভায় যৌনকর্মীদের প্রয়োজন অনুয়ায়ী পুনর্বাসন, যৌনকর্মীদের শিশুদের জন্ম নিবন্ধন শুধুমাত্র মায়ের নামে করার সুযোগের সুপারিশ করা হয়।