বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে বসে শিশুরা এঁকেছে নদীর ছবি, মাঝিরা অংশ নিয়েছে ডিঙি নৌকা প্রতিযোগিতায়, কিশোর-তরুণেরা অংশ নিয়েছে সাইকেল র্যালি ও মূকাভিনয়ে। ২৭ নভেম্বর বুড়িগঙ্গা নদী উৎসব সামনে রেখে আজ শুক্রবার বছিলা ব্রিজসংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদী ও নদীর পাড়ে এসব প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে বেসরকারি সংস্থা ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে বছিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এক সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সাইকেল র্যালির উদ্বোধন করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল। এ সময় বাংলাদেশ সাইকেল লেন ইমপ্লিমেন্টেশন কাউন্সিলের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম টুব্বুসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্দেশক নাদের চৌধুরী, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক মিহির বিশ্বাস, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, নোঙর সংগঠনের সভাপতি সুমন শামস প্রমুখ।
পরে সকাল সাড়ে ১০টার সময় নদী বিষয়ে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয় বুড়িগঙ্গা নদীর মাঝিদের অংশগ্রহণে ডিঙি নৌকা প্রতিযোগিতা। দুপুর ১২টায় নদী উৎসবস্থল বছিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মূকাভিনয় পরিবেশন করে বাংলাদেশের বিশিষ্ট মূকাভিনয় সংগঠন দ্য মামার’স।
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, 'ঢাকার চারপাশে নদী এখন নর্দমা আর ড্রেনে পরিণত হয়েছে। আগে তো এমন পরিস্থিতি ছিল না। বর্ষাকাল এলে নদী আমাদের দেশের উৎসবের অংশ হয়ে যায়, শীতকালে সেটা ম্লান হয়ে যায় দূষণের কারণে। আমরা চাই আমাদের দেশের নদীগুলো সারা বছর উৎসবের অংশ থাকুক। দূষণমুক্ত করে নদীগুলোকে যদি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে না আনা যায়, তাহলে ঢাকাকে বাঁচানো যাবে না। নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে না পারলে ঢাকার জলাবদ্ধতা কোনো দিন দূর হবে না।'
নদীকে নর্দমা রেখে ঢাকাকে তিলোত্তমা নগরী করা সম্ভব নয় জানিয়ে শরীফ জামিল বলেন, 'নতুন প্রজন্মসহ সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল পর্যন্ত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নদীগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করতে হবে।'