মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। ঈদের আগের প্রথম ছুটির দিনেই ফেরিতে ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। অনেকেই শিমুলিয়া পর্যন্ত গাড়িতে এসে লঞ্চ বা স্পিডবোটে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। তারা অপর প্রান্তে গিয়ে আবারও গাড়িতে উঠছে। তাই লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার এবং শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি নৌপথে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫টি স্পিডবোট চলাচল করছে। স্পিডবোটে ১৫০ টাকা ও লঞ্চে ৪৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া শিমুলিয়া-মাঝিকান্দির সঙ্গে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে এবার দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ফেরি চালু রয়েছে। দিনে রো-রোসহ ১০টি ফেরি চলাচল করছে এবং রাতে চলাচল করছে ৭টি ফেরি। তাই ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি কমাতে শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিরকান্দি (সাত্তার মাদবর) ঘাটে নতুন আরেকটি ফেরিঘাট চালু করা হয়েছে।
শিমুলিয়ার বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, এই মুহূর্তে আমি বলব ফেরির কোনো ঘাটতি নেই। মোটরসাইকেল দিয়ে ঘাট জ্যাম হয়ে আছে। সেখানে ফেরি থাকলেও তো কোনো লাভ নেই। এই মুহূর্তে সব ঘাটেই ফেরি আছে। ঘাটের যানজট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। তাঁরা বিষয়টা দেখছেন। এদিকে, ঘাটে যারাই আসছেন কেউ শৃঙ্খলা মানছেন না। এলোমেলোভাবে ঢুকে যানজট বাঁধিয়ে দিচ্ছেন। এ কারণে অনেক সময় ফেরি থেকে গাড়ি নামতেও সমস্যা হচ্ছে। এতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।
মহাব্যবস্থাপক আরও বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, কিন্তু কার আগে কে যাবে এই প্রতিযোগিতায় ঘাটে সমস্যা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের মাস্টার আছে, মেরিন বিভাগ আছে, সেনাবাহিনী আছে, বিআইডব্লিউটিএ আছে। সবাই মিলে আমরা সোচ্চার আছি। কোনো ধরনের যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সতর্কতার সঙ্গে ফেরি চালানো হচ্ছে।
মাওয়া পদ্মা উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, দিনে রো-রোসহ ১০টি ফেরিতে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। কিন্তু অস্বাভাবিক ভিড়ে সমস্যা হচ্ছে। তবে মোটরসাইকেলের কারণে সংকট বাড়ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের নিরাপদে নদী পারাপার নিশ্চিত করতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক পুলিশ, নৌপুলিশ, লৌহজং থানার পুলিশ, জেলা পুলিশ, কোস্ট গার্ড, সিভিল ডিফেন্স ও আনসার সদস্যরা মাঠে রয়েছেন।