ঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর শাহবাগ হাতিরপুল এলাকার একটি ভবনেরর একটি অফিসকক্ষ থেকে সেজানুর রহমান আনাছ (২৩) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেল ৫টার দিকে হাতিরপুল সি আর দত্ত রোডের নাহার প্লাজার নয়তলার একটি অফিস কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল মোনায়েম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুরে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে নাহার প্লাজার নয়তলা থেকে ওই যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই যুবক ফ্যানের হুকের সঙ্গে স্টিলের তারে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। এবং মরদেহ অর্ধগলিত অবস্থায় ছিল।’
তিনি আরও জানান, নাহার প্লাজার ওই ভবনের নয় তলায় ঢাকা লিফট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির অফিস ছিল। ওই যুবক সেই অফিসে কাজ করতেন। ঈদের পর থেকে বন্ধ ছিল অফিস। ২৫ জুন থেকে তাঁকে খুঁজে পাচ্ছিল না পরিবারের লোকজন। আজ দুপুরে কোম্পানির মালিক পারভেজ বাবু অফিসে গিয়ে ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান, তবে বাইরে জুতা ছিল। পরে অনেক সময় দরজা ধাক্কধাক্কির পর দরজা খুলে যায়। তখন ওই যুবককে অফিসের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে থানা-পুলিশে খবর দেন। মরদেহ অর্ধগলিত ছিল।
ধারনা করা হচ্ছে, চার দিন আগে তিনি অফিসের কক্ষের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃত আনাছের মামা জাহঙ্গির হোসেন জানান, আনাছদের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলায়। বাবার নাম মো. জালাল মুন্সি। তবে তিনি পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ি মাতুয়াইল পশ্চিম পাড়া দরবার শরীফ রোডে থাকতেন। তিনি ঢাকা লিফট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সেলস এক্সিকিউটিভ ছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট ছিলেন।
তিনি আরও জানান, গত সাত মাস আগে তিনি একই এলাকায় বিয়ে করেন। কিন্তু বাসা ছোট হওয়ায় স্ত্রীকে বাসায় তুলতে পারছিলেন না। এসব নিয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে মান-অভিমান করে গত মঙ্গলবার ২৫ জুন রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। আজকে হাতিরপুলের অফিস থেকে ফোন আসে আনাছের মরদেহ পাওয়া গেছে।