নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সীমানা নির্ধারণের কাজ চূড়ান্ত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। বিশেষ করে চলতি বছরের জুলাইয়ের আগে কাজটি শেষ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে কমিশনও কর্মপদ্ধতি অনুযায়ী কাজে নেমে পড়ছে। মঙ্গলবার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে কমিশনের ১৩ তম সভা অনুষ্ঠিত হবে।
অবশ্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর জানিয়েছেন, সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের মতামতকে গুরুত্ব দেবে ইসি। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে এ কথা জানান তিনি।
মো. আলমগীর বলেছেন, জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। তবে প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, ‘পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে জনসংখ্যার চূড়ান্ত রিপোর্ট আমরা এখনো পাইনি। আমাদের অপেক্ষা করা একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের কাজ শুরু করতে হবে।’
ইসি আলমগীর জানান, সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা হচ্ছে তিন নম্বর গুরুত্ব। প্রথম গুরুত্ব হচ্ছে প্রশাসনিক-যদি কোনো প্রশাসনিক পরিবর্তন না হয়ে থাকে তাহলে তো সেটা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। যদি কোনো ভৌগোলিক পরিবর্তন না হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রেও প্রয়োজন হবে না।
আলমগীর বলেন, ‘একটাই ফ্যাক্টর আছে, সেটা হলো জনসংখ্যার কারণে। জনসংখ্যা তো আর সমবণ্টন করা যায় না। একটা মেলাতে গেলে আরেকটা মেলে না।’ তাঁর মতে, প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডটা ঠিক রাখলে জনসংখ্যা মেলানো কঠিন হয়ে যায়। কারণ এটা কখনোই মেলানো সম্ভব না। এমনকি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও কোথাও পৌনে তিন লাখ লোক আছে। আবার কোথাও কোথাও প্রায় ১১-১২ লাখ লোকও আছে।
মঙ্গলবার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বৈঠক হবে জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) এ নিয়ে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় আমাদের প্রিন্সিপালগুলো কী হবে তা ঠিক করা হবে। আগামী জুনের মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ চূড়ান্ত করা হবে।