নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের জনপ্রশাসনে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈষম্য বিরাজ করছে বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী গণকর্মচারী পরিষদের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার নির্বিশেষে বিভিন্ন সার্ভিসের মধ্যে যে ভয়াবহ মৌলিক বৈষম্য বিরাজ করছে, এই বৈষম্য দূর করা জরুরি। অন্যথায় প্রশাসনে আরও বিশৃঙ্খলতা বাড়বে।
আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক জিন্নাত আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্যসচিব রাশেদুল আলম ও মোহাম্মদ আলীসহ অনেকে।
তাঁরা বলেন, ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে পরিচিতি, পদোন্নতি, আর্থিক সুবিধা, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ এবং কর্মসম্পাদনে বৈষম্য স্পষ্ট। নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা একই গ্রেডে থেকেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।
এ ছাড়া, পদোন্নতির অভাব, প্রেষণভিত্তিক নিয়োগ এবং লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য তাঁদের পেশাগত কর্মস্পৃহা ও দক্ষতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তাঁরা বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণে সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা সংস্কারের আটটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
উপযুক্ত সমাধানের জন্য বৈষম্যমূলক ক্যাডার, নন-ক্যাডার বিভাজন বিলুপ্ত করে গ্রেডভিত্তিক পরিচিতি ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।
তাঁরা আরও বলেন, নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতায়ন অপরিহার্য। পদোন্নতি এবং পদায়নে মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং একটি স্বাধীন সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা কমিশন গঠন জরুরি।
এ ছাড়া স্থায়ী পে-কমিশন গঠন করে নিয়মিত বেতন কাঠামো সমন্বয় ও আর্থিক বৈষম্য দূর করার দাবি বৈষম্যবিরোধী গণকর্মচারী পরিষদের।