ঢাকার ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) সংশোধনে রাজউক-গণপূর্ত আবাসন ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) পরিচালক নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।
আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ‘বসবাসযোগ্যতার তলানিতে থাকা ঢাকার ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) সংশোধনের প্রক্রিয়া, উদ্দেশ্যে ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব: আইপিডির পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘রাজউক ও গণপূর্তের অঙ্গীকার হচ্ছে সার্বিক জনস্বার্থ রক্ষা করা। এখন তারা জনস্বার্থ পাশ কাটিয়ে রাজউক-গণপূর্ত আবাসন ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় রাজউক বা মন্ত্রণালয় চলে। রাজউক ড্যাপ ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা নিয়ে আবাসন কোম্পানির কাছে মতামত চায়, তারা তো তাদের স্বার্থই দেখবে। এখন দেখছি বাড়িওয়ালা সমিতির নাম দিয়ে রাজউকের মিটিংয়ে অংশ নিচ্ছে। এটা হচ্ছে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। জনগণের ট্যাক্সের টাকা রাজউকের কর্মকর্তাদের বেতন হচ্ছে। তাঁরা জনগণের সঙ্গে অঙ্গীকার লঙ্ঘন করেছে। নতুন বাংলাদেশের জন্য তরুণেরা রক্ত দিয়েছে আপনাদের এই প্রতারণা করার জন্য।’
এই নগর পরিকল্পনাবিদ আরও জানান, সম্প্রতি ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) যে সকল সংশোধনীর প্রস্তাব রাজউক প্রকাশ করেছে, সেখানে শহরের বসবাসযোগ্যতা, ধারণক্ষমতা, নাগরিক সুবিধাদি, পরিবেশ প্রাধান্য পায়নি। গুরুত্ব পেয়েছে আবাসন ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক স্বার্থ। ব্যবসায়ী ও স্বার্থান্বেষী মহলের চাপে ড্যাপ (২০২২-৩৫) চূড়ান্ত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে দুবার ড্যাপ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হলো। ড্যাপ সংশোধন প্রক্রিয়ায় রাজউকের কতিপয় কর্মকর্তা ও পেশাজীবীদের এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ।
অনলাইন সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইপিডির উপদেষ্টা অধ্যাপক আকতার মাহমুদ, নির্বাহী পরিচালক আরিফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফরহাদুর রেজা প্রমুখ।