হোম > সারা দেশ > ঢাকা

নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: রিজভীসহ ১৩ জনের জামিনের আবেদন দায়রা আদালতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা পুলিশের ওপর হামলার মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ ১৩ জনের জামিনের আবেদন করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই আবেদন করা হয়। 

অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এই আবেদন করেন। বিচারক মো. আসাদুজ্জামান আগামী ১ ফেব্রুয়ারি আবেদনের ওপর শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

আইনজীবী মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, রিজভীসহ ১৩ জনের জন্য জামিনের আবেদন করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন জামিনও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালত আজ কোনো কিছুই শোনেননি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন। 

এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৪৩৬ জন নেতা-কর্মীর জামিনের আবেদন করা হয়। তাঁদের আবেদন আগামী ৩০ জানুয়ারি শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়। 

২১ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ কয়েকজনের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। তাঁদের আবেদন শুনানির জন্য আগামী ২৫, ২৬ ও ২৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। 

গত ৭ ডিসেম্বর সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে আটক করা হয় ৪৫০ জন নেতা-কর্মীকে। তাঁদের ৮ ডিসেম্বর আদালতে আনার পর আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের জুয়েলকে জামিন দেন আদালত। অন্যদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের ৯ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে ৪৫৩ জন কারাগারে রয়েছেন। 

গত ৮ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে ২ হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। 

এজাহারে বলা হয়, গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা। কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে এই সমাবেশের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়া যায়। 

১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপি জড়ো হয়েছিল পার্টি অফিসের সামনে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যাওয়ার পরে পল্টন, রমনা, শাহজাহানপুর ও মতিঝিল থানায় পাঁচটি মামলা হয়।

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

সেকশন