গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মৃত্যুর চার মাস পর আব্দুল হামিদের (৭০) লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে আদালতের নির্দেশে তাঁর লাশ তুলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা যায়, গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় সালদৈ গ্রামের বিবদমান একটি ধান খেত থেকে আ. হামিদ (৭০) কিছু ধানগাছ কেটে নিয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর প্রতিপক্ষ আ. মান্নানের (৬০) সঙ্গে এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ওই রাতেই আ. হামিদের বাড়ির উঠানে একটি সালিসে বসেন। সালিস চলাকালে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হঠাৎ আ. হামিদ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্বজনেরা বাড়িতে নিয়ে স্থানীয় এক চিকিৎসককে খবর দিলে তিনি তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এ ঘটনার এক মাস ৪ দিন পর ৩০ এপ্রিল গাজীপুর আদালতে আ. হামিদকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ফাতেমা স্থানীয় আট ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার বাদী মোসা. ফাতেমা জানান, ঘটনার সময় তিনি পাশের মনোহরদী উপজেলায় স্বামীর বাড়িতে ছিলেন। পরে বাড়িতে এসে লোকজনের কাছে শুনতে পেয়েছেন তাঁর বাবার মৃত্যুর আগে সেখানে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে মৃত আ. হামিদের ছোট ভাই ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. আজিমুদ্দিন জানান, ধান কাটার ঘটনার পর থেকে সালিস চলাকালে আ. হামিদের মাটিতে ঢলে পড়া এবং চিকিৎসকের ডাকা সব ঘটনায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আ. হামিদকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ওই সালিসে উপস্থিত বর্তমান ইউপি সদস্য মো. জসিমউদ্দিন জানান, ধান কাটার বিষয়টি নিয়ে সালিসে উভয় পক্ষের কথা-কাটাকাটি ও উত্তেজনার একপর্যায়ে আ. হামিদ মাটিতে ঢলে পড়ে মারা যান। এখানে হাতাহাতি বা মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
লাশ তোলার সময় সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুল হুসাইন ও কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।