বর্তমানে হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার নারীরা ইতিবাচক গ্রহণযোগ্যতা পেলেও তা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নয় বলে উল্লেখ করেন হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর সদস্যরা। তাই নারী-পুরুষের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সামাজিক সংগঠন ‘সুস্থ জীবন’-এর আয়োজনে একটি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তৃতীয় লিঙ্গের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের স্লোগান ছিল, ‘জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন, পূর্ণ হবে সকলের অংশগ্রহণ’।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা দাবি করেন, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারী-পুরুষের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা না গেলে জাতীয় উন্নয়ন ব্যাহত হবে। সবার উন্নয়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমেই সমাজের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব। সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত আসন দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
২০১৩ সালে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে নিয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়। এরপর তেমন বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ বা উন্নয়ন এই জনগোষ্ঠী ভোগ করছে না বলে উল্লেখ করেন সুস্থ জীবন সংগঠনের সভাপতি পার্বতী আহমেদ। কাজ শুধু কাগজে-কলমে হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘সমাজকল্যাণ একটা ট্রেনিং দিয়ে ১০ হাজার টাকা ধরায় দেয়। এই সময়ে একজন হিজড়া ১০ হাজার টাকা দিয়ে কীভাবে নতুন কিছু শুরু করতে পারে? পঞ্চাশের ওপরে বয়স্ক একজন হিজড়াকে ৩০০-৪০০ টাকা দিচ্ছে, এটা দিয়ে তার কী হবে? এই কথাগুলো কেউ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বলছে না। কারণ সেখানে আমাদের কোনো প্রতিনিধি নাই। এ জন্যই সংসদে সংরক্ষিত আসনের দাবি জানিয়েছে হিজড়া জনগোষ্ঠী।’
সংরক্ষিত আসন দেওয়া হবে বললেও অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় বলে দাবি করেন উপস্থিত বক্তারা। সেতুবন্ধন কল্যাণ সংঘের সভাপতি জয়িতা ভানু বলেন, ‘এখানে অনেক জটিলতা আছে। আসন দেওয়া হবে বলার পর আমরা নমিনেশন সাবমিট করি। এরপর অনেক প্রতিবন্ধকতা এসেছে। আমাদের কথা সংবিধানেও এসেছে। এর পরেও বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।’