পুলিশের হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ‘কর্মসূচি থেকে নেওয়ার সময় বেধড়ক পিটিয়েছে আমাকে। আমার কোমরে, পিঠে, পায়ে ও হাঁটুতে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে। এরপর আমাকেসহ অন্তত ১০-১২ জনকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ছেড়ে দিয়েছে আমাকে।’
আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয় থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি মহানগর বিএনপির দায়িত্বের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং ২০১৬ সালে নাসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছিলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে চিটাগাং রোডের দিকে আসছিলাম। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ের পেছন থেকে সড়কে ওঠার সময় ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা প্রথমে বাধা দেয়। আমি তাদের বারবার বলতে থাকি, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করব। কিন্তু তারা কোনো কথা না শুনেই লাঠিপেটা করতে শুরু করে। আমাকে বেধড়ক মারধর করে এবং আমার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। সেই ছেঁড়া পাঞ্জাবি নিয়েই বাসায় ফিরেছি।’
আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তাদের কার্যালয়ে এনে জানার চেষ্টা করছি, তারা কেন সেখানে জড়ো হয়েছিল, কী তাদের উদ্দেশ্য ছিল? বিষয়গুলো জানার পর তাদের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনে এসে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হন সাখাওয়াতসহ অন্তত পাঁচজন। এ সময় ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা পুলিশের উদ্দেশে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। তবে পুলিশের বাধার মুখে বেশিক্ষণ থাকতে না পেরে দ্রুতই অলিগলিতে পালিয়ে যান তাঁরা।