মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় শারমিন আক্তার (৩০) নামে নারীকে হত্যার অভিযোগে তার দ্বিতীয় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের ধোতরা গ্রামে অবস্থিত কৃষি ইনস্টিটিউটের পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে শারমিনের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম—রতন। তিনি পেশায় কসাই। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা।
ওসি জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে মনোয়ার নামের একজনের সঙ্গে নিহতের বিয়ে হয়েছিল। ৫ বছর ধরে ধামরাই উপজেলার রতন নামে আরেকজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে এক মাস আগে তাঁরা বিয়ে করে সংসার শুরু করেছিলেন। আজ শনিবার পুনরায় আবার রতনের কাছ থেকে প্রথম স্বামীর কাছে চলে যেতে চাইছিলেন শারমিন। এই আক্রোশে দ্বিতীয় স্বামী রতন ধারালো অস্ত্র দিয়ে শারমিনকে গলা কেটে হত্যা করে বলে জানিয়েছেন।
নিহতের প্রথম স্বামী মনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে শারমিনের সাথে আমার পুনরায় বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। আর দুপুরেই শারমিনের জবাই করা লাশ রাস্তার পাশে এলাকাবাসী দেখতে পায়। পরে আমরা গিয়ে শারমিনের লাশ শনাক্ত করি। আমি শারমিনের হত্যার বিচার চাই।’
শারমিনকে গলা কেটে হত্যা করার কথা স্বীকার করে দ্বিতীয় স্বামী রতন কসাই বলেন, ‘আমাকে ছেড়ে শারমিন আজ শনিবার বিকেলে ওর প্রথম স্বামীর মনোয়ারের কাছে চলে যাইতে চাইছিল। তাই আমি শারমিনকে ফোন দিয়ে ওই স্থানে (কৃষি ইনস্টিটিউটের পশ্চিম পাশের রাস্তায়) আসতে বলি। ও আসলে প্রথমে বুকে জড়িয়ে ধরি। তারপর পেছন থেকে আমি জড়িয়ে ধরে শারমিনের গলায় চাকু চালিয়ে ওকে হত্যা করি।’
এ বিষয়ে ওসি শফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, ‘নিহতের দ্বিতীয় স্বামী রতনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’