গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার কিছু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ নির্দেশ না মেনে ক্লাস চলমান রেখেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন এমন দুটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে মুচলেকা নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা।
প্রতিষ্ঠান দুটি হলো—পৌরসভার সুতিপলাশ মহল্লার দারুল কোরআন ও কওমি মাদ্রাসা এবং কোনাবাড়ী বাজারে লাইটহাউস ল্যাবরেটরি স্কুল।
পরে মাদ্রাসার পরিচালক শেখ সাদী সরকারের নিয়ম লঙ্ঘন করে ক্লাস চালু রাখায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সরকারি নিয়ম মানার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে মুচলেকা দেন। একইভাবে লাইটহাউস ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান হাবিবুর রহমান ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মুচলেকা দিয়েছেন।
লাইটহাউস ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেওয়া হবে বলে শিক্ষার্থীদের আতঙ্কগ্রস্ত করে রাখছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফলে অভিভাবকেরাও বাধ্য হয়ে শিশুদের ক্লাসে পাঠাচ্ছিলেন।
এ বিষয়ে ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘স্বাস্থ্যের চেয়ে শিক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রেখে কোনো প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইউএনও জানান, খবর পেয়ে উপজেলার দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। পরে প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা এমন আর হবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন।