স্ত্রী স্বীকৃতির দাবি নিয়ে ১৫ দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন এক তরুণী। তাঁর দাবি, ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁর প্রেম ও মৌলভির মাধ্যমে বিয়ে হয়। পরে ওই শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও হঠাৎই যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই তিনি বাধ্য হয়ে তরুণের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
ওই তরুণের নাম আশিকুর রহমান শুভ (২৪)। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে তারাপাশা এলাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
ভুক্তভোগী ওই তরুণীর (২২) বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার খড়িয়ালা গ্রামে। ঢাকার বাড্ডা এলাকার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন তিনি।
ওই তরুণী বলেন, মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার সময় ফেসবুকে শুভর সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠলে এক মৌলভির মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল তাঁরা বিয়ে করেন। একসময় গর্ভে সন্তান আসলেও শুভর কথায় গর্ভপাত করেন বলে দাবি তাঁর। সে সময় শুভর পড়াশোনা চলমান থাকায় তাঁকে আরও ৫ বছর অপেক্ষা করতে বলেন।
তরুণী আরও বলেন, ‘আমি শুভর বাড়িতে এসেছি আমার অধিকার নিয়া। আমি ওর পরিবারকে সব প্রমাণ দিয়েছি। প্রমাণ দেওয়ার পরও ওরা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি যেন এখান থেকে চলে যাই সে জন্য এখানকার মানুষজনকে দিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে। আমি শুধু আমার অধিকারটা ফেরত চাই।’
এ বিষয়ে আশিকুর রহমান শুভর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে দুই পক্ষ ও এলাকার লোকজন নিয়ে সঠিক সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শ্যামল মিয়া বলেন, ‘আমরা ওই তরুণীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তরুণীর ভাষ্যমতে ঢাকার বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন সময়ে ঘটনা ঘটেছে। ওই তরুণী ঢাকার থানায় অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ট থানা আমাদের কাছে আইনি সহযোগিতা চাইলে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’