হোম > সারা দেশ > ঢাকা

আজিমপুর কলোনির জরাজীর্ণ ভবন যেন মৃত্যুফাঁদ

আয়নাল হোসেন ঢাকা

পুরান ঢাকার আজিমপুর কলোনি জনাকীর্ণ ভবনগুলোর বেশ কয়েকটি রীতিমতো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। আজ বুধবারই কলোনির একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এভাবে কোনো কোনো ভবনের কখনো ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে, কখনো বা কলামের অংশ বা বারান্দার অংশ ধসে পড়ছে। এতে প্রায়ই আহত হচ্ছেন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বাসিন্দাদের কেউ না কেউ।

বুধবার আজিমপুর কলোনি নতুন ৫৪ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলার বাসিন্দা ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের টেক্সিডারমিস্ট জান্নাতুল নার্গিস গতকাল বুধবার সকালে ওয়াশরুমে যান। হঠাৎ ভবনের ছাদের একটি অংশ ভেঙে তাঁর মাথায় পড়লে আহত হন। তাঁর মাথার বাঁ পাশের অনেকটা ফুলে গেছে। ভেঙে পড়া পুরো অংশটি মাথায় পড়লে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যেতে পারতেন বলে আশপাশের লোকজন জানিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণের পর বর্তমানে তিনি বাসায় অবস্থান করছেন। 

বছরখানেক আগে একই বাসার বারান্দার ছাদের বিশাল একটি অংশ ভেঙে পড়েছিল। ওই সময় সেখানে কেউ উপস্থিত না থাকায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। 

শুধু জান্নাতুল নার্গিস নন, ভবনটির দোতলার বাসিন্দা আব্দুল আলিম বলেন, গত এক বছরে ছাদের তিনটি অংশের পলেস্তারার অংশ ভেঙে পড়েছিল। গত বছর রান্নাঘরের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে অল্পের জন্য তাঁর স্ত্রী রক্ষা পান। 

একই ভবনের তৃতীয় তলার বাসিন্দা আব্দুর রউফ জানান, ছয় মাস আগে বারান্দার ছাদের পলেস্তারা খসে তাঁর বড় মেয়ে শামীমা আহত হন। এ ছাড়া রান্নাঘরের দেওয়া হাতের পলেস্তারা ধসে পড়ে এবং টয়লেটের কিছু অংশ ধসে পড়ে। 

গতকাল টয়লেটের অংশ ভেঙে আহত হওয়ার বিষয়টি আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জুয়েলকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক লোক পাঠিয়ে এর খোঁজ নেন। যেসব স্থানে ফাটল কিংবা যে স্থানগুলো ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলো মেরামতের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেন। 

আজিমপুর গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নতুন ৫৪ নম্বর ভবনটি ১৯৮৫ সালে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এতে ২৪টি পরিবার বসবাস করছে। ভবনের প্রবেশ পথের কার্নিশের কয়েকটি স্থানে ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া ভবনটির নিচের দিকের কিছু অংশও ভেঙে পড়ছে। 

ভবনের নিচ তলার বাসিন্দা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ভবনটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষত রান্নাঘরের ছাদ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ওপরতলা থেকে নিচতলায় পানি চুঁইয়ে পড়ছে। এতে ভবনের প্রায় প্রতিটি তলার ছাদ দুর্বল হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

শুধু এই ভবন নয়, কলোনির বহু ভবন এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এগুলোর কোনো কোনোটির বয়স ৫৪ নম্বর ভবনটির চেয়েও বেশি। গণপূর্ত অধিদপ্তর এরই মধ্যে কলোনির ৩৬টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ভেঙে সেই স্থানে নতুন করে ১৫টি বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। কিন্তু এর বাইরেও বহু ভবন রয়ে গেছে, যা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কররা হচ্ছে না। 

এ বিষয়ে আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনের যেসব স্থান ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলো সংস্কারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজকালের মধ্যেই তা মেরামত করা হবে।’

পাংশায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, কিশোর নিহত

এক ব্যক্তি একাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশার মালিক হতে পারবেন না: ডিএমপি কমিশনার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দুই কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে চালক নিহত

৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ২ নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু

ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ

আফতাবনগরে ধুলা আর শব্দদূষণ

৩ বছরেও পৌঁছায়নি ইতালি, খবর এল নির্যাতনে মৃত্যুর

গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী ‘জুলাই-জাগরণ’ শুরু কাল

মেডিকেল ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনে স্বতন্ত্র আইনের দাবি ব্যবসায়ীদের

চকচকে বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা

সেকশন