Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

রপ্তানির আড়ালে চার প্রতিষ্ঠানের ৩৮২ কোটি টাকা পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রপ্তানির আড়ালে চার প্রতিষ্ঠানের ৩৮২ কোটি টাকা পাচার

বিদেশ পণ্য রপ্তানির আড়ালে দেশীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সহযোগিতায় চারটি প্রতিষ্ঠান মিলে ৪৮২ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। চলতি বছরের শুরুতে কাগজ জাল করে পণ্য রপ্তানির অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল উত্তর পতেঙ্গা ডিপোয় অভিযান চালায়। এতে প্রমাণ মেলে জালিয়াতির।

অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এশিয়া ট্রেডিং করপোরেশন, সাবিহা সাইকি ফ্যাশন, ইমু ট্রেডিং করপোরেশন ও ইলহাম। 

এই প্রতিষ্ঠানগুলো জাল নথি তৈরি করে এক হাজার ৭৮০টি চালানের বিপরীতে ৩৮২ কোটি টাকা পাচার করে। এর মধ্যে এশিয়া ট্রেডিং করপোরেশন পাচার করেছে ২৮২ কোটি টাকা, ইমু ট্রেডিং করপোরেশন ৬২ কোটি টাকা, ইলহাম ১৭ কোটি টাকা এবং ২১ কোটি টাকা পাচার করেছে সাবিহা সাইকি ফ্যাশন। 

আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক ফখরুল আলম।

এরই ধারাবাহিকতায় ৭টি কন্টেইনারে রাখা ৯টি পণ্যের চালানের কায়িক পরীক্ষা করা হয়। সেখানে ঘোষণাবহির্ভূত একাধিক পণ্য পাওয়া যায়। ঘোষণা মোতাবেক টি-শার্ট এবং লেডিস ড্রেস রপ্তানির কথা থাকলেও পরীক্ষায় বেবি ড্রেস, জিনস প্যান্ট, লেগিন্স, শার্ট ও শালসহ ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য মেলে। অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করতে চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দাকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তদন্তে দেখা যায়, সাবিহা সাইকি ফ্যাশন নামের প্রতিষ্ঠানটি বিগত সময়ে ৮৬টি বিলে পণ্য রপ্তানি করে। রপ্তানি করা পণ্য চালানগুলোতে সাবিহা সাইকি ফ্যাশন ১৯৭ টন মেনস ট্রাউজার, টি-শার্ট, বেবি সেট, ব্যাগ, পোলো শার্ট, জ্যাকেট, প্যান্ট ও হুডি রপ্তানি করে। যার মূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা। চালানগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়াতে রপ্তানি করা হয়।

কাস্টমসের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, এস্যাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ইএক্সপি যাচাই এবং অগ্রণী ও ব্র্যাক ব্যাংক থেকে তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ৮৬টি বিল অব এক্সপোর্টে থাকা ইএক্সপিগুলো ভিন্ন ভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করা। যেহেতু একটি ইএক্সপি একাধিক বিল অব এক্সপোর্টে ব্যবহারের সুযোগ নেই; সেহেতু ৮৬টি বিল অব এক্সপোর্টে ভিন্ন ভিন্ন রপ্তানিকারকের ইএক্সপি ব্যবহার করা হলেও বিল অব এক্সপোর্টের ফিল্ড ২৪ এ কোড ২০ ব্যবহার করার কারণে ইএক্সপি এবং সংশ্লিষ্ট বিল অব এক্সপোর্টের রপ্তানিকারকের বিন অটো ম্যাচ হয়নি। এ ক্ষেত্রে ইএক্সপির কার্যকারিতা নেই। ফলে বৈধপন্থায় ২১ কোটি টাকা দেশে আসার সুযোগ নেই। একইভাবে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো অন্য রপ্তানিকারকের ইএক্সপি ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি করেছে। এ কারণে এই চালানগুলোর বিপরীতে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা বৈধপথে দেশে আসার সুযোগ না থাকায় মানি লন্ডারিং হয়েছে।

এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লিমাক্স শিপার্স লিমিটেডের সহযোগিতায় জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি কার্যক্রম করে। অন্য প্রতিষ্ঠানের ইএক্সপি ব্যবহার করায় এ জাতীয় ইএক্সপির কোনো প্রকার কার্যকারিতা না থাকায় বৈধপন্থায় বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসার হওয়ার সুযোগ নেই, অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং হয়েছে। ওই চার প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অন্য আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে এমন কার্যক্রমের অভিযোগ রয়েছে।

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের মিছিল থেকে আটক অন্তত ১৫

পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের প্রকাশ্যে মিছিল

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ

নারায়ণগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় ২ তরুণ নিহত

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের কর্মসূচি ঠেকাতে বায়তুল মোকাররমে কঠোর নিরাপত্তা

বিক্ষোভের ডাক নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের, তাদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলল পুলিশ সদর দপ্তর

সিদ্ধিরগঞ্জে লেকের পানিতে ভাসছিল যুবকের মরদেহ

নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

দাগি অপরাধী গ্রেপ্তার নেই, উদ্ধার বেশি রড-লাঠি

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছেলের মৃত্যু টাকার লোভে আন্দোলনে হত্যার মামলা বাবার