নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘দিনটিকে স্মরণ রাখবেন, দিনটি ঐতিহাসিক। আজকের এ ছবিটা আপনারা তুলে রাখুন। দুর্নীতি দমন কমিশন ও বটতলার এই ছবিটি একটি ঐতিহাসিক ছবি হয়ে থাকবে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এটি প্রকাশিত হবে। যুগ যুগ ধরে নানা বইতেও এটা প্রকাশিত হবে। আপনারা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবেন।’ দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় আজ রোববার আত্মসমর্পণ করার পর জামিন পেয়ে জজ আদালত প্রাঙ্গণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন।
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন তাঁকেসহ আটজনকে জামিন দেন।
আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনারা বিবেচনা করুন, দুর্নীতি দমন কমিশন আজকে একটি বিচারে বসল। এটা সঠিক কারণে হয়েছে কি না, সঠিকভাবে হয়েছে কি না।’
তিনি বলেন, ‘চিন্তা করেন তো, এদিনে দুদকের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলো একজন নোবেল বিজয়ীকে।’
তিনি আবার বলেন, ‘এটা রেকর্ডেড। জাতির অংশ হয়ে থাকবে। এটার জন্য কি আমরা গর্ববোধ করব, নাকি অপরাধ বোধ করব? যারা সারা জীবন খেটে এ প্রতিষ্ঠানের (গ্রামীণ ব্যাংক, গ্রামীণ টেলিকম) জন্য কাজ করে গেলেন, তাঁদেরও মামলার আসামি করা হলো।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘আজকের এ ছবিটা আপনারা তুলে রাখুন। দুর্নীতি দমন কমিশন ও বটতলার এটি একটি ঐতিহাসিক ছবি হয়ে থাকবে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এটি প্রকাশিত হবে। যুগ যুগ ধরে নানা বইতেও এটা প্রকাশিত হবে। আপনারা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবেন।’