তীব্র স্রোতের কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে গত কয়েক দিন ধরেই ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীবাহী পরিবহন গুলোকে ভোগান্তিতে না পরলেও পণ্যবাহি ট্রাক গুলোকে তিন থেকে চার দিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ফেরি পার হওয়ার জন্য।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৩ কিলোমিটার জুড়ে যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সারি রয়েছে। এ ছাড়া ঘাট থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আহলাদিপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালে রয়েছে।
খুলনা থেকে আসা আলমাস হোসেন জানায়, গেল তিন দিন ধরে আটকে আছি। তিন দিন আগে যেখানে ছিলাম সেখানেই আছি। একটুও এগোতে পারি নাই। আমার ট্রাকের সামনে আরও চার শত ট্রাক আছে। আগামী আরও তিন দিনে পার হতে পারব কি না জানি না।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা ইব্রাহিম জানায়, এখানে খাওয়ার কষ্ট, ঘুমানোর কষ্ট, গোসল খানা, টয়লেট নেই। খুবই কষ্টের মধ্যে আছি আমরা।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন জানায়, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ। যে কারণে ওই রুটের যানবাহন এই রুট ব্যবহার করছে। এ ছাড়া পদ্মা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। স্বাভাবিক সময় থেকে দ্বিগুণ সময় বেশি লাগছে। যার ফলে ঘাটে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এই নৌরুটে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি চলাচল করছে।
শিহাব উদ্দিন আরও জানান, দুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী যানবাহন ও কাঁচামালের ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।