ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই দলের নেতার বাড়িসহ অন্তত ২০টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের ফুসরা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একপক্ষের নেতৃত্ব দেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাশেম খান এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্কাস মাতুব্বর।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল রোববার বিকেলে এলাকার একটি পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরে আজ সকালে হাসেম খানের সমর্থকেরা গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রাম থেকে শতাধিক লোক নিয়ে আক্কাস মাতুব্বরের বাড়িসহ তাঁর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ভাঙচুর করে এবং দশ লক্ষাধিক টাকার গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। পরে আক্কাস মাতুব্বরের সমর্থকেরা এক হয়ে হাসেম খার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় আটজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য এলাকায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাস মাতুব্বর বলেন, ‘রোববার রাতে পুলিশের মধ্যস্থতায় আমরা সংঘর্ষে জড়াব না বলে কথা দিয়েছিলাম। আমি তা মেনে নিলেও হাসেম খান তা মানেননি। তার সমর্থকেরা অতর্কিতভাবে আজ সকালে আমার বাড়িসহ আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও দশ লাখ টাকার গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে যায়।’
এ অভিযোগ অস্বীকার করে হাসেম খান। তিনি বলেন, ‘আক্কাসের সমর্থকেরা আমার বাড়িতে হামলা করেছে ভাঙচুর করেছে।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ সেনাবাহিনী এবং র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।