ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় কিশোরী (১৬) মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে (৫০) পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ঘটনাটি নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এর আগে রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উপজেলার একটি গ্রাম থেকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর গত ছয় মাস ধরে গাঁ ঢাকা দেন। এরপর রোববার রাতে তিনি বাড়িতে ফিরে এলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে আটক করে পুলিশকে জানায়।
আটকের সময় ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি কান্নাকাটি ও গড়াগড়ি করে বলছেন, ‘আমি পরিবারকে টাহা দিতে আসছিলাম। আমি মাটির তলে যাব। আমি এই কাজ করিনি। আমি নিরীহ মানুষ, ভিক্ষা-সিক্ষা করে খাই। এসব ষড়যন্ত্র করতেছে।’
এ সময় ওই কিশোরী জানায়, গত দুই বছর ধরে তার বাবা তাকে ধর্ষণ করেছেন। এখন মিথ্যা বলছেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিকটিম কিশোরীর জবানবন্দি অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তকে ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মামা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং আটক ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করা হবে।’