নারীর পোশাক নয়, পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ধর্ষণের অন্যতম কারণ। তাই ধর্ষণ প্রতিরোধে এবং নারী নির্যাতনমুক্ত সমাজ গড়তে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন প্রয়োজন। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশব্যাপী অব্যাহতভাবে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন’ কর্মসূচিতে বক্তারা পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের উপর জোর দেন।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি রচী হাবীব বলেন, নারী নির্যাতন বন্ধে সামাজিক প্রতিরোধের কাজ তরান্বিত করতে হবে। পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য পরিবারে নারী-পুরুষের সমতার চর্চা প্রয়োজন।
ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা বলেন, নারীদের নানা রকম কথা শুনতে হয়—পোশাক ঠিক নাই, চলাফেরা ঠিক নাই। কিন্তু আমরা দেখলাম, হিজাব পরা তনুকে ধর্ষণের শিকার হতে হলো। মাগুরার শিশুটি যে কিনা নারীই হয়ে ওঠেনি, তাকেও মরতে হলো। নারীর প্রতি নিপীড়ন বন্ধে সবাইকে একসঙ্গে সোচ্চার হতে হবে। পর্ন সাইট ও মাদক বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি এন্ড লবি শাখার ডিরেক্টর অ্যাডভোকেট দীপ্তি শিকদার, অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস রত্না বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, সংঘবদ্ধ নারীবিরোধী তৎপরতা, নারীকে হেনস্থা, নারী বিদ্বেষ এবং মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সকল বয়সের নারী সকল ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং নারীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
তাঁরা বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধের কাজ বহুমাত্রিক। মামলা পরিচালনা, মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমানো, ধর্ষণের সংজ্ঞা, নারীর প্রতি সহিংসতার ব্যাপারে সকল পক্ষের সংবেদনশীলতাসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি, সমাজের মানসকাঠামো পরিবর্তন করা না গেলে নারী প্রতি সহিংসতার বিচার নিশ্চিত করা কঠিন হবে।