টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী গ্রুপের প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় খোয়া যাওয়া আটটি মালবাহী বলগেট জাহাজ কেটে কেজি দরে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার টঙ্গিবাড়ীর একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
গত ৫ আগস্ট থেকে গাজী গ্রুপের বিভিন্ন কারখানায় লুটপাট চলছিল। গ্রুপটি চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী আটকের পর নারায়ণগঞ্জ থেকে ২৭ আগস্ট জাহাজগুলো টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের সুবচনী বাজারসংলগ্ন নদীর পাড়ের সালাম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডকইয়ার্ডে এনে সাতটি মালবাহী বলগেট জাহাজ নদীতে ডুবিয়ে রেখে একটি কাটা শুরু করে। সালাম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মালিক স্থানীয় মো. ইসরাফিলের ছেলে আব্দুস সালাম।
স্থানীয়রা জানান, চোরাই জাহাজগুলো আনার পর টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দুবার মারামারি হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের ও স্থানীয় নেতা—সবাই টাকার ভাগ চান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাজী গ্রুপের লুট হওয়া একটি জাহাজের অর্ধাংশ কেটে ফেলা হয়েছে। আরও সাতটি জাহাজ পানিতে ডুবিয়ে রেখেছে বলে জানা গেছে।
সালাম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতিনিধি সুবচনি গ্রামের আনিসুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে আনা আটটি জাহাজের মধ্যে একটি বিক্রির জন্য কাটা হচ্ছে। বাকি সাতটি জাহাজ ডুবিয়ে রেখেছে ডকইয়ার্ডের মালিক। তিনি আরও বলেন, গাজী গ্রুপের জাহাজগুলো সালাম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডকইয়ার্ডে মেরামত করানো হতো। সেই সুবাদে গাজী গ্রুপের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ছিল ডকইয়ার্ডের মালিকের। সেই আর্থিক লেনদেন মেটানোর জন্য গাজী গ্রুপে লুট হওয়ার সময় একটি জাহাজ নিয়ে আসা হয়। পরে আরও সাতটি জাহাজ দখলে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসলাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। থানা-পুলিশের কর্মকর্তা ওসি সাহেবকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’