ঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর মগবাজার ওয়ারলেস গেট এলাকায় মঞ্জিল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন আয়নাল হাওলাদার (৪০) ও শাহজালাল মন্টু (৬০)। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আয়নাল হাওলাদার আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় শাহজালাল মন্টুর। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আয়নাল হাওলাদারের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩০)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মগবাজারে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন শাহজালাল মন্টু। রমনা থানার পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাঁর স্বজনেরা হাসপাতালে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
শাহজালাল মন্টুর চাচাতো ভাই আব্দুল বারী বলেন, ‘তাঁদের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভদ্রাসন থানার মৌলভীর চর গ্রামে। বর্তমানে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কাকরাইলে থাকতেন। পেশায় কার্টুনের ব্যবসা করতেন। ঘটনার সময় তিনি মগবাজার থেকে রিকশাযোগে কাকরাইলের বাসায় ফিরছিলেন। রাতে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে আহত অবস্থায় দেখতে পাই।’
রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইদুল হক বলেন, মগবাজার ওয়ারলেস গেট এলাকার প্রধান সড়কে মঞ্জিল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার আইল্যান্ডে ধাক্কা দেয়। এতে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এসআই বলেন, মঞ্জিল পরিবহনের বাসটি মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে নেমে মৌচাকের দিকে যাচ্ছিল। ঘটনার পরপরই বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন।
হাসপাতালে মৃত আয়নালের বড় ভাই শাহজাহান হাওলাদার বলেন, তাঁদের বাড়ি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মধুর চর গ্রামে। বর্তমানে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে খিলগাঁও সি ব্লকে থাকতেন। মালিবাগে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
তিনি বলেন, ‘বিকেলে এক আত্মীয়কে দেখতে হলিফ্যামিলি হাসপাতালে গিয়েছিল আয়নাল ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগম। সেখান থেকে রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিল। পরে খবর পাই মগবাজারে দুর্ঘটনায় পড়েছে। হাসপাতালে এসে আয়নালের মরদেহ দেখতে পাই।’