সদরঘাটে তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে সেই রশির আঘাতে পাঁচজনের প্রাণহানির ঘটনায় পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে সদরঘাট নৌ থানা-পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সদরঘাট নৌ থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবুল কালাম বলেন, ‘পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
এর মধ্যে রয়েছেন এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খান (৭৬)। এই লঞ্চের ধাক্কাতেই লঞ্চ বাঁধার রশি ছিঁড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। হেফাজতে নেওয়া বাকি দুজন হলেন এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮) এবং দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৪)।
আজ সন্ধ্যায় পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এর আগে বেলা ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান-৬ নামে আরেকটি লঞ্চ পার্ক করার সময় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী হতাহত হন।