নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনার মহামারি থেকে রেহাই না মিলতেই বিশ্বজুড়ে জেঁকে বসছে মাঙ্কিপক্স। যেখানে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের প্রায় ১৮ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। বাংলাদেশেও ভাইরাসটি প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে আগাম সতর্ক করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলটন হলে মাঙ্কিপক্স নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্স এখনো শনাক্ত করা না গেলেও সব প্রবেশ পথ দিয়ে আক্রান্ত বহু দেশের নাগরিক আসছেন। এতে করে শঙ্কা আছে। তাই বিমানবন্দরের পাশাপাশি স্থলপথের প্রবেশ পথে সতর্কতা বাড়াতে হবে। যাতে সন্দেহভাজন কেউ আসলে দ্রুত আইসোলেশন করা যায়।’
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ‘প্রতিদিনই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খবর আসছে। আসছে মৃত্যুর খবর। পরিস্থিতি কোনদিকে যায় বলা মুশকিল। তাই, আতঙ্কিত না হয়ে এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। করোনা চীন হয়ে ইতালি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে, মাঙ্কিপক্স যে একইভাবে আসবে না তা নিশ্চিত নয়। তাই, সময় থাকতে সচেতন হতে হবে।’
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে গুটি বসন্তের টিকা ৮৫ ভাগ সুরক্ষা দেয়। কিন্তু ১৯৮১ সালের পর থেকে বাংলাদেশে এই টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এখন ভাইরাসটির প্রকোপ যদি বেড়ে যায় প্রয়োজনে আবারও সেই টিকা প্রয়োগ করা হবে। একই সঙ্গে যাদের বাসায় পোষা প্রাণী আছে, তাদের একটু সচেতন হতে হবে। কেননা, এটি প্রাণী থেকে প্রাণী এবং সেখান থেকে মানুষকে সংক্রমিত করে।’
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত অন্য ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে কেউ ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে দেখা গেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের ৭৪ ভাগ রোগী বহুগামিতায় অভ্যস্ত। আর ২৬ ভাগ রোগীর এইচআইভি এইডস শনাক্ত হয়।’