রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—‘ঢাকার মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় ছিনতাই এর প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার (২০-২-২০২৫) তারিখ রাত আনুমানিক ১২টা ৩০ ঘটিকায় যৌথবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা একটি গলির দুই পাশে ঘেরাও করলে সন্ত্রাসীরা একটি একতলা ভবনের ছাদ থেকে আভিযানিক দলটির ওপর অতর্কিত গুলি চালায়। আভিযানিক দলটি আত্মরক্ষার্থে তৎক্ষণাৎ পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ৫ জন সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আটক করতে সক্ষম হয়।’
এতে আরও বলা হয়, ‘পরবর্তীতে, বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে ছাদের ওপর থেকে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। আটককৃত ব্যক্তিদের নিকট হতে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি এবং একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সূত্রে আটক ও নিহতদের পরিচয় জানা গেছে। নিহতেরা হলেন—নিহত দুজন হলেন, ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ গ্রামের মো. শাহজাহান আলীর ছেলে মিরাজ হোসেন (২৫)। তিনি মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যান এলাকার ৮ নম্বর রোডের সান্দামির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। অপরজন হলেন, শরিয়তপুর জেলার গোসাইর হাটের দেশভুয়াই গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে মো. জুম্মন (২৬)। তিনি চাঁদ উদ্যান এলাকার ৫ নম্বর রোডের হুজুরের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তাঁদের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আটক হয়েছেন—ভোলা জেলার দুলারহাট থানার নীলকমল এলাকার আব্দুর রবের ছেলে মো. হোসেন (২৩), একই জেলার লালমোহন উপজেলার মিরাজ (২৫), মমিনুল (২০), মেহেদী (১৭) এবং বরিশালের মুলাদী উপজেলার সেলিমপুর গ্রামের মো. রহিমের ছেলে মো. আল আমিন (২৪)। তারা সবাই চাঁদ উদ্যান ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় ভাড়া থাকেন। তারা মোহাম্মদপুর থানা হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও খবর পড়ুন: