নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, ‘আমরা তথ্যের অবাধ প্রবাহ বৃদ্ধি করে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে তথ্যের প্রবাহ বা তথ্যের প্রাপ্তি নিশ্চিতে কাজ করছি।’
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে’ এক্সচেঞ্জসমূহের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের আর্থিক বিবরণীর সাবমিশন স্ট্যাটাস সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রকাশের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন দুপুর ২টায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এর উদ্বোধন করেন। এ সময় সিএসইর চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুর রহমান মজুমদার, ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ জি এম সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ্, প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘দেশের দুই এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক বিবরণীর সাবমিশন স্ট্যাটাস সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রকাশের কার্যক্রম খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। বর্তমানের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে তথ্য একটা প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে বিদ্যমান।’
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, এই উদ্যোগের বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের বিষয়ে আরও বেশি তথ্য পাবেন। আরও ভালো বিনিয়োগ পরিকল্পনা করতে সক্ষম হবেন বলে মনে করি। এই কার্যক্রমকে প্রথম ধাপ উল্লেখ করে পরবর্তীতে এই ক্ষেত্রে আরও উন্নয়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের আর্থিক বিবরণীর সাবমিশন স্ট্যাটাস সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রকাশের ক্ষেত্রে শুধু ডিএসইর ওয়েবসাইটেই লক্ষাধিক নতুন তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে ডিএসইর পক্ষ থেকে জানানো হয়। উভয় এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে এ সময় উল্লেখিত বিষয়ে বিএসইসির উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়। বক্তব্য রাখেন এক্সচেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বক্তারা বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন। এটি পুঁজিবাজার বিষয়ক গবেষণা কিংবা রিপোর্টিংয়েও কাজে আসবে। একই সঙ্গে বিএসইসি এবং এক্সচেঞ্জের বাজার মনিটরিংসহ অন্যান্য কার্যক্রমেও তথ্যাবলি কাজে আসবে। দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও কল্যাণের স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম ও উদ্যোগ পরিচালিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।